শ্বাসকষ্টের গুরুতর সমস্যায় পোপ ফ্রান্সিস

গুরুতর শ্বাসকষ্টের সংকটে পড়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। বর্তমানে দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। তবে পোপ সচেতন আছে বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান। গতকাল সোমবার (৩ মার্চ) দুই দফা তার শ্বাসযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বিঘ্নিত হয়। খবর বিবিসি।
ভ্যাটিকান এক বিবৃতিতে বলেছে, চিকিৎসকরা তার ফুসফুস থেকে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা সরানোর জন্য হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন। তবে পুরো সময় তিনি সচেতন ছিলেন।
৮৮ বছর বয়সী এই ধর্মগুরু আবারো অক্সিজেন মাস্ক ও ভেন্টিলেটরের সহায়তা নিচ্ছেন, তবে তিনি সচেতন ও মনোযোগী রয়েছেন এবং চিকিৎসকদের সহযোগিতা করছেন বলে জানায় ভ্যাটিকান।
এটি তার সাম্প্রতিক অসুস্থতার মধ্যে তৃতীয়বারের মতো গুরুতর শারীরিক অবনতি। ১৮ দিন আগে নিউমোনিয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে এবারই সবচেয়ে বড় সংকটময় অবস্থায় আছেন পোপ ফ্রান্সিস।
শুক্রবার তিনি বমিসহ শ্বাসকষ্টে ভুগেছেন। তবে অক্সিজেন থেরাপির মাধ্যমে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। রোববার ভ্যাটিকান জানায়, পোপের নন-ইনভেসিভ মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন দরকার পড়ছে না, তবে উচ্চপ্রবাহের অক্সিজেন থেরাপি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
সোমবারের ঘটনার পর, তাকে আবারও মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে নেয়া হয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিস গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রথমে তার ব্রঙ্কাইটিস ধরা পড়ে, পরে উভয় ফুসফুসে নিউমোনিয়া শনাক্ত হয়। তিনি অতীতে প্লিউরিসিতে (ফুসফুসের প্রদাহ) আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং তার আংশিক ফুসফুস অপসারণ করা হয়েছিল। এ জন্য নিউমোনিয়ার ঝুঁকিতে ছিলেন তিনি।
ভ্যাটিকানের সূত্রগুলো বলছে, চিকিৎসকরা এখনো সতর্ক রয়েছেন এবং পোপের অবস্থা জটিল। তিনি এখনো পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নন।
টানা তিন সপ্তাহ ধরে পোপ ফ্রান্সিস তার ঐতিহ্যবাহী অ্যাঞ্জেলাস প্রার্থনা ব্যক্তিগতভাবে পরিচালনা করতে পারেননি। ভ্যাটিকান তার লিখিত বক্তব্য প্রকাশ করছে। সোমবার প্রকাশিত এক বার্তায় তিনি জনগণের প্রার্থনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার চিকিৎসা দলকে ধন্যবাদ জানান।