শতকোটি টাকা খরচের পরও কেন মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ দুই সিটি?
বছরে শতকোটি টাকা খরচ আর ভ্রাম্যমাণ আদালতের জেল-জরিমানার পরও মশক নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ দুই সিটি করপোরেশন। কীটনাশকের মান নিয়ে প্রশ্ন রাজধানীবাসীর। তবে কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, কীটনাশকের প্রয়োগবিধি সঠিকভাবে না হওয়ার কারণেই মিলছে না ফল।
এ শত্রু পুরানো। সময়ের হিসাবে অন্তত ২৪ বছরের বৈরিতা। দীর্ঘ এই সময় ধরেই চলছে শত্রু দমনের নানা কার্যক্রম। শত্রুর অবস্থান, বংশবৃদ্ধি প্রক্রিয়া, প্রজননস্থল কারোই অজানা নয়। তবু প্রতিবছর দৃশ্যমান এই শত্রুর আক্রমণে ধরাশায়ী হতে হচ্ছে বহু মানুষকে। শুধু শহরই নয়, শত্রু ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদেও।
এডিস নামক এ শত্রু বিনাশে প্রথমে হাতিয়ার হিসেবে সামনে আসে কীটনাশক। দিনের পর দিন একই কীটনাশক ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। করা হয় কীটনাশক পরিবর্তন। আসে পরিবেশবান্ধব বিটিআই। কিন্তু কিছুতেই যেন পেরে ওঠা দায়।
শুধু কীটনাশকই নয়, মানুষজনকে সচেতন ও মশক নিয়ন্ত্রণে তৎপরতা বাড়াতে একইসঙ্গে চলে ভ্রাম্যমাণ আদালতও। করা হয় জেলা-জরিমানা। কিন্তু কিছুতেই যেন মশার সঙ্গে পেরে ওঠা দায়।
মশক নিয়ন্ত্রণে সবশেষ অর্থবছরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বাজেট ছিল ১৫২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। গত ১২ বছরে মশা মারার এই আয়োজনে খরচ হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এত কিছুর পরও মশা নিয়ন্ত্রণে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য না আসার পেছনে কীটনাশক প্রয়োগ পদ্ধতির গলদকে দায়ী করছেন কীটতত্ত্ববিদরা। তবে সর্বোচ্চ নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে কীটনাশক প্রয়োগের দাবি নগর কর্তৃপক্ষের।
জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) অ্যান্টোমলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার বলেন, ‘কোনো মানুষ যদি রোগাক্রান্ত হয় তার রোগকে সারাতে যত বড় ডাক্তারই আমরা দেখাই, যত ভালো ওষুধই আমরা কিনে নিয়ে আসি, সেটা সঠিকভাবে ব্যবহার বা সেবন যদি না করে তাহলে যেমন রোগ সারবে না; তেমনি আমরা যত ভালো ও দামি কীটনাশকই নিয়ে আসি না কেন, এটার প্রয়োগবিধি যথাযথ না হলে মশার ঘনত্ব কমবে না। উল্টো বাড়বে।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমি যে লিথাল ডোজে (একটা পদার্থের সর্বোচ্চ যে পরিমাণ কোনো প্রাণীর মৃত্যু ঘটাতে পারে) দিচ্ছি, সেটা সাব লিথাল ডোজ হয়ে গেলে মশার আশপাশে মশার যে শত্রু আছে সেগুলো মরে যাবে। তখন মশা দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। কারণ, মশাকে ঘায়েল করার মতো প্রকৃতিতে কেউ থাকবে না
অর্থাৎ প্রয়োগবিধি সঠিকভাবে না হওয়ার কারণেই শতকোটি টাকা খরচ, জেল-জরিমানার পরও মশাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলেই মত দেন নিপসমের অ্যান্টোমলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার।
এ শত্রু পুরানো। সময়ের হিসাবে অন্তত ২৪ বছরের বৈরিতা। দীর্ঘ এই সময় ধরেই চলছে শত্রু দমনের নানা কার্যক্রম। শত্রুর অবস্থান, বংশবৃদ্ধি প্রক্রিয়া, প্রজননস্থল কারোই অজানা নয়। তবু প্রতিবছর দৃশ্যমান এই শত্রুর আক্রমণে ধরাশায়ী হতে হচ্ছে বহু মানুষকে। শুধু শহরই নয়, শত্রু ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদেও।
এডিস নামক এ শত্রু বিনাশে প্রথমে হাতিয়ার হিসেবে সামনে আসে কীটনাশক। দিনের পর দিন একই কীটনাশক ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। করা হয় কীটনাশক পরিবর্তন। আসে পরিবেশবান্ধব বিটিআই। কিন্তু কিছুতেই যেন পেরে ওঠা দায়।
শুধু কীটনাশকই নয়, মানুষজনকে সচেতন ও মশক নিয়ন্ত্রণে তৎপরতা বাড়াতে একইসঙ্গে চলে ভ্রাম্যমাণ আদালতও। করা হয় জেলা-জরিমানা। কিন্তু কিছুতেই যেন মশার সঙ্গে পেরে ওঠা দায়।
মশক নিয়ন্ত্রণে সবশেষ অর্থবছরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বাজেট ছিল ১৫২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। গত ১২ বছরে মশা মারার এই আয়োজনে খরচ হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এত কিছুর পরও মশা নিয়ন্ত্রণে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য না আসার পেছনে কীটনাশক প্রয়োগ পদ্ধতির গলদকে দায়ী করছেন কীটতত্ত্ববিদরা। তবে সর্বোচ্চ নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে কীটনাশক প্রয়োগের দাবি নগর কর্তৃপক্ষের।
জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) অ্যান্টোমলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার বলেন, ‘কোনো মানুষ যদি রোগাক্রান্ত হয় তার রোগকে সারাতে যত বড় ডাক্তারই আমরা দেখাই, যত ভালো ওষুধই আমরা কিনে নিয়ে আসি, সেটা সঠিকভাবে ব্যবহার বা সেবন যদি না করে তাহলে যেমন রোগ সারবে না; তেমনি আমরা যত ভালো ও দামি কীটনাশকই নিয়ে আসি না কেন, এটার প্রয়োগবিধি যথাযথ না হলে মশার ঘনত্ব কমবে না। উল্টো বাড়বে।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমি যে লিথাল ডোজে (একটা পদার্থের সর্বোচ্চ যে পরিমাণ কোনো প্রাণীর মৃত্যু ঘটাতে পারে) দিচ্ছি, সেটা সাব লিথাল ডোজ হয়ে গেলে মশার আশপাশে মশার যে শত্রু আছে সেগুলো মরে যাবে। তখন মশা দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। কারণ, মশাকে ঘায়েল করার মতো প্রকৃতিতে কেউ থাকবে না
অর্থাৎ প্রয়োগবিধি সঠিকভাবে না হওয়ার কারণেই শতকোটি টাকা খরচ, জেল-জরিমানার পরও মশাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলেই মত দেন নিপসমের অ্যান্টোমলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার।