এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই
সম্প্রতি হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্কে আছেন
অনেকেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচিএমপিভি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
সাধারণ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করেই এইচএমপিভির সংকর্মণ থেকে দূরে থাকা
সম্ভব।
এইচএমপিভি মূলত একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, যা প্রধানত ফুসফুস ও
শ্বাসনালীকে প্রভাবিত করে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল
অ্যান্ড প্রিভেনশন সিডিসি বলছে, ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। তবে
অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, হয়ত আরো অনেক যুগ আগে থেকেই এ ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল
পৃথিবীতে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পাঁচ বছর পর চীনের উত্তর অঞ্চলে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস সংক্ষেপে এইচএমপিভি ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ায় নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে, এইচএমপিভি আক্রান্ত হয়ে চীনের হাসপাতালগুলোতে ভিড় বাড়ছে, এমন তথ্য নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই এইচএমপিভি ছড়িয়ে পড়ে। হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই মূলত এইচএমপিভি ছড়ায়। এইচএমপিভি আক্রান্ত বক্তির হাঁচি-কাশি লেগে থাকা ব্যক্তির ব্যবহৃত কাপড় বা কোনো বস্তু এমনকি কোনো জায়গা অন্য কেউ স্পর্শ করে সেই হাত নিজের নাক-মুখে স্পর্শে করলে সেখান থেকে এইচএমপিভি হতে পারে। সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ ও হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই এইচএমপিভি ছড়ানোর ইতিহাস আছে।
এই ভাইরাসের যে রূপ সেটির বিভিন্ন রকম শ্রেণিবিন্যাস করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এইচএমপিভি ভাইরাসের মিউটেশন হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। গুরুতর ফর্মে যাওয়া এবং মানুষের খুব বেশি ক্ষতি করতে সক্ষম, মৃত্যুহার খুব উঁচু এমন পর্যায়ে যায়নি এইচএমপিভি। যেহেতু মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় ভাইরাসটি, তাই পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে।
এদিকে এই ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করবে কী-না সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরাও কোনো সতর্কবার্তা না দিলেও, রোগটি যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।