স্কুলে হঠাৎ অসুস্থ ১২ শিক্ষার্থী, চিকিৎসক যা বললেন
নওগাঁ সদর উপজেলা হাঁপানিয়া এলাকার একটি স্কুলের ১২ জন শিক্ষার্থী হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে তাদের নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে উইনার চাইল্ড একাডেমি স্কুলে এই ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থী-শিক্ষক, অভিভাবক এবং এলাকাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীদের নাম- সিনহা, সিহাব, জিহাদ, রউফ, ইউসুফ আলী, ইব্রাহিম, ছাফিউল্লাহ, মাহিম, রাহিম, আবু হুজাইফা, রিফাত ও শর্মিলা। তাদের সবার বয়স ৭ থেকে ৯ বছরের মধ্যে। সবাই হাপানিয়া এলাকার বাসিন্দা।
শিক্ষক ও অভিভাবকদের দাবি, টিফিনের সময় স্কুলের পাশের দুটি দোকান থেকে চটপটি, ঝালমুড়ি ও নুডলস খেয়ে শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আর চিকিৎসকরা বলছেন, বেশিরভাগ শিক্ষার্থী গণমনস্তাত্ত্বিক রোগে আক্রান্ত।
সরেজমিন সদর হাসপাতালের পঞ্চম তলায় গিয়ে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডে ওই ১২ জন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পাশে পরিবারের লোকজন ও শিক্ষকরা আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ে দুইজন শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর থেকে আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় কয়েকজন বমি করে ও জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এতে বিদ্যালয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের অবস্থা খারাপ দেখে তাৎক্ষণিক বিদ্যালয় শিক্ষকরা অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক শিক্ষার্থীর মা রেনুকা বেগম বলেন, হঠাৎ করেই খবর পাই স্কুলে আমার ছেলেসহ অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। স্কুলে এসে শুনি শিক্ষকরা তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। হাসপাতালে এসে সন্তানের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, টিফিনের সময় সে ঝাল মুড়ি কিনে খায়। কিছুক্ষণ পর থেকে তার মাথা ঘুরতে থাকে এবং বমি করে। এখন তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে।
উইনার চাইল্ড একাডেমি স্কুলের শিক্ষক শিহাব উদ্দিন বলেন, টিফিনের সময় শিক্ষার্থীরা স্কুলের পাশেই দুটি দোকান থেকে ঝালমুড়ি, নুডলসসহ বিভিন্ন খাবার খায়। ক্লাসে ফেরে একে একে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে থাকে। শিক্ষার্থীদের অবস্থা দেখে তাদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করাই। এখন সবাই ভালো আছে।
স্কুলটির পরিচালক আবু মুছা আল হোসাইন বলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ধারণা, ফুড পয়জনিংয়ের কারণেই এই সমস্যা হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী আবার আতঙ্কিত হয়েও অসুস্থ হতে পারে। আগামীতে স্কুলের পাশের ওই দোকান দুটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক হায়দার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, দু-একজনের হালকা ফুড পয়জনিং হতে পারে। আর বাকিরা আতঙ্কে অসুস্থতা বোধ করেছে। এটা তেমন কোনো রোগ নয়। এটাকে গণমনস্তাত্ত্বিক রোগ বলা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় সব শিক্ষার্থী সুস্থ হয়ে উঠছে। বর্তমানে তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো। .
আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে উইনার চাইল্ড একাডেমি স্কুলে এই ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থী-শিক্ষক, অভিভাবক এবং এলাকাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীদের নাম- সিনহা, সিহাব, জিহাদ, রউফ, ইউসুফ আলী, ইব্রাহিম, ছাফিউল্লাহ, মাহিম, রাহিম, আবু হুজাইফা, রিফাত ও শর্মিলা। তাদের সবার বয়স ৭ থেকে ৯ বছরের মধ্যে। সবাই হাপানিয়া এলাকার বাসিন্দা।
শিক্ষক ও অভিভাবকদের দাবি, টিফিনের সময় স্কুলের পাশের দুটি দোকান থেকে চটপটি, ঝালমুড়ি ও নুডলস খেয়ে শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আর চিকিৎসকরা বলছেন, বেশিরভাগ শিক্ষার্থী গণমনস্তাত্ত্বিক রোগে আক্রান্ত।
সরেজমিন সদর হাসপাতালের পঞ্চম তলায় গিয়ে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডে ওই ১২ জন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পাশে পরিবারের লোকজন ও শিক্ষকরা আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ে দুইজন শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর থেকে আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় কয়েকজন বমি করে ও জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এতে বিদ্যালয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের অবস্থা খারাপ দেখে তাৎক্ষণিক বিদ্যালয় শিক্ষকরা অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক শিক্ষার্থীর মা রেনুকা বেগম বলেন, হঠাৎ করেই খবর পাই স্কুলে আমার ছেলেসহ অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। স্কুলে এসে শুনি শিক্ষকরা তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। হাসপাতালে এসে সন্তানের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, টিফিনের সময় সে ঝাল মুড়ি কিনে খায়। কিছুক্ষণ পর থেকে তার মাথা ঘুরতে থাকে এবং বমি করে। এখন তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে।
উইনার চাইল্ড একাডেমি স্কুলের শিক্ষক শিহাব উদ্দিন বলেন, টিফিনের সময় শিক্ষার্থীরা স্কুলের পাশেই দুটি দোকান থেকে ঝালমুড়ি, নুডলসসহ বিভিন্ন খাবার খায়। ক্লাসে ফেরে একে একে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে থাকে। শিক্ষার্থীদের অবস্থা দেখে তাদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করাই। এখন সবাই ভালো আছে।
স্কুলটির পরিচালক আবু মুছা আল হোসাইন বলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ধারণা, ফুড পয়জনিংয়ের কারণেই এই সমস্যা হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী আবার আতঙ্কিত হয়েও অসুস্থ হতে পারে। আগামীতে স্কুলের পাশের ওই দোকান দুটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক হায়দার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, দু-একজনের হালকা ফুড পয়জনিং হতে পারে। আর বাকিরা আতঙ্কে অসুস্থতা বোধ করেছে। এটা তেমন কোনো রোগ নয়। এটাকে গণমনস্তাত্ত্বিক রোগ বলা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় সব শিক্ষার্থী সুস্থ হয়ে উঠছে। বর্তমানে তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো। .