Space for ads

বন্যার পর লক্ষ্মীপুরে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, আক্রান্ত বেশি নারী-শিশুরা

 প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪০ অপরাহ্ন   |   রোগ

বন্যার পর লক্ষ্মীপুরে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, আক্রান্ত বেশি নারী-শিশুরা
Space for ads

লক্ষ্মীপুরে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। দৈনিক গড়ে ভর্তি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী। গত এক মাসে ১৮শ রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। ১০ দিনে ভর্তি হয়েছে সাড়ে পাঁচশ রোগী। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও নারী। ১০টি বেডে চলছে দেড় শতাধিক রোগীর চিকিৎসা। ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে নার্স ও চিকিৎসকদের।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট করে মাত্র ১০টি বেড রয়েছে। অথচ ১০ বেডেই চলছে দেড় শতাধিক রোগীর চিকিৎসা। এরমধ্যে ৫৮ জনই শিশু। প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ জন। গত এক মাসে ১৮শ রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর গত ১০দিনে ভর্তি হয়েছেন পাঁচশ রোগী। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শিশু ও নারী। প্রতি বেডে তিন থেকে চারজন রোগীকে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঠাঁই নেই হাসপতালের মেঝেতেও। আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট ওয়ার্ডের বাইরেও আলাদা ডায়রিয়া ওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়। সেখানেও চলছে প্রতিদিন ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসা। ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যার তুলনায় ১০ গুণ বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে নার্স ও চিকিৎসকদের।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, একটি বেডে তিন শিশু। পাশে একজন নারী রোগীও অবস্থান করছে। তাদের সবাইকে স্যালাইন পুশ করা হয়েছে। গড়ে প্রতি বেডে তিন থেকে চারজন করে রোগী অবস্থান করছেন। ডায়রিয়া রোগীর চাপ থাকায় বাধ্য হয়ে ভর্তি দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্সরা বলছেন, কখনো কখনো একদিনে দেড় শতাধিক অধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। ১০ শয্যায় রোগী আছে ৫ থেকে ৭ জন করে। এদিকে লোকবল কম, নার্স সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে হিমশিম খেতে হয়।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ইনচার্জ নিলু দাস জানান, রোগীদের সঙ্গে লোকজন থাকায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, জনবল সংকটরে কারণে শুধু ডায়রিয়া ওয়ার্ড নয় পুরো হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে ভোগান্তির শিকার হয় চিকিৎসকসহ নার্স-ব্রাদাররা। জেলা সদরে শয্যা সংকটের পাশাপাশি জনবল সংকটের কারণে অনেক ডায়রিয়া রোগী পাশের জেলা চাঁদপুরের মতলবে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অরুপ পাল জানান, প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী ভর্তি হয়। শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী লোকবল জনবল কম থাকায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপর সেবা দিতে কোনো অবহেলা করছেন না নার্সরা। বন্যার পানির কারণে এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নারী ও শিশুরা।

প্রসঙ্গত- সম্প্রতি বন্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার পাঁচটি উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। কোমর ও হাট পরিমাণ পানি স্থায়িত্ব ছিল প্রায় দুই মাস। সুপেয় পানি না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে ব্যবহার করতে হয়েছে বন্যার পানি। ফলে শুরু হয় বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ। প্রাদুর্ভাব বেড়েছে ডায়রিয়ায়। ফলে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপতালে ভর্তি হচ্ছেন।

BBS cable ad