মিরপুর আলোক হাসপাতালে বাড়তি বিল আদায়ের অভিযোগ
রাজধানীর মিরপুর ১০ এ অবস্থিত আলোক হাসপাতালে অতিরিক্ত বিল আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী একাধিক রোগীর স্বজনেরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, বিভিন্ন অজুহাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত বিল আদায় করছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাসপাতালের ভুক্তভোগী স্বজনদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম টাঙ্গাইল জেলার বিয়ারা গ্রাম থেকে তার স্ত্রীকে নিয়ে এসে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে আলোক হাসপাতালে ভর্তি করেন। ডায়াবেটিস, পায়ে ইনফেকশনসহ বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত রোগের কারণে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তিনি।
আব্দুর রহিম বলেন, আমার স্ত্রীকে যখন হাসাতালে ভর্তি করেছি তখন ২৫ হাজার টাকা দেই। পায়ের ইনফেকশনের জন্য ড্রেসিং বিল একদিনে তারা করেছে ৫ হাজার টাকা। আমার রোগী অসুস্থতার কারণে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে না এরপরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খাওয়া-দাওয়ার বিল করেছে হাজার টাকা। আইসিওতে পর্যবেক্ষণের জন্য মনিটর বিল প্রতি ঘণ্টায় ২০০ টাকা করে ৮ ঘণ্টা রেখে ৩ হাজার ৮০০ টাকা করেছে। আরো অনেক অজুহাতে বাড়তি টাকা নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, ২৪ ঘণ্টা না যেতেই হাসপাতাল আমার কাছে মোট বিল দাবি করছে ৫২ হাজার ৮৬৭ টাকা। বাকি ২৬ হাজার টাকা না দিলে আমার রোগী হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারছি না। আমার মনে হয়, আমি গরিব ও কম শিক্ষিত হওয়ায় তারা বাড়তি বিল করেছে। এরা কোনো কথা শুনে না, তারা যা বিল করছে তাই দিতে বলছে।
অন্য দিকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মেহেদি হাসান তার খালাতো ভাই আল-হেলাল মিরাজকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কারণে অন্য হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে এ হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।
মেহেদি হাসান অভিযোগে বলেন, আমার রোগী অন্য হাসপাতাল থেকে এ হাসপাতালে এনেছি। রোগীর হাতে ক্যানোলা করা ছিল। ক্যানোলার সঙ্গে যে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে তার জন্য প্রতি ইনজেকশনের জন্য ১০০ টাকা করে বিল ধরা হয়েছে। এমন বিল কোনো হাসপাতাল নেয় না।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন রোগীকে দেখার জন্য সিনিয়র ডাক্তারের বিল নেওয়ার পরও, কেনও জুনিয়র ডাক্তার ভিজিটের বিল করেছে তারা। এমন বাড়তি বিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রায় সব রোগীর কাছ থেকে আদায় করছে। আমাদের কষ্টের টাকায় হাসপাতালকে বাড়তি বিল দিতে চাই না।
আলোক হাসপাতাল লিমিটেড এর কাস্টমার কেয়ার ম্যানেজার মো. আসাদুজ্জামান সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানে রোগী ভর্তি করার আগে, সবকিছু তাদের জানিয়ে ভর্তি করি। সবাই সব কিছু জেনে এখানে ভর্তি হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিনিয়র ডাক্তার প্রতিদিন আমাদের রোগীদের একবার দেখেন। এছাড়া জুনিয়র ডাক্তাররা রোগীদের পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। অন্য হাসপাতালে এভাবেই রোগীদের পর্যবেক্ষণ করা হয়। এটা প্রত্যেকটি হাসপাতালের একটি প্রক্রিয়া, অন্য কিছু নয়।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, বিভিন্ন অজুহাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত বিল আদায় করছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাসপাতালের ভুক্তভোগী স্বজনদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম টাঙ্গাইল জেলার বিয়ারা গ্রাম থেকে তার স্ত্রীকে নিয়ে এসে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে আলোক হাসপাতালে ভর্তি করেন। ডায়াবেটিস, পায়ে ইনফেকশনসহ বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত রোগের কারণে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তিনি।
আব্দুর রহিম বলেন, আমার স্ত্রীকে যখন হাসাতালে ভর্তি করেছি তখন ২৫ হাজার টাকা দেই। পায়ের ইনফেকশনের জন্য ড্রেসিং বিল একদিনে তারা করেছে ৫ হাজার টাকা। আমার রোগী অসুস্থতার কারণে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে না এরপরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খাওয়া-দাওয়ার বিল করেছে হাজার টাকা। আইসিওতে পর্যবেক্ষণের জন্য মনিটর বিল প্রতি ঘণ্টায় ২০০ টাকা করে ৮ ঘণ্টা রেখে ৩ হাজার ৮০০ টাকা করেছে। আরো অনেক অজুহাতে বাড়তি টাকা নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, ২৪ ঘণ্টা না যেতেই হাসপাতাল আমার কাছে মোট বিল দাবি করছে ৫২ হাজার ৮৬৭ টাকা। বাকি ২৬ হাজার টাকা না দিলে আমার রোগী হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারছি না। আমার মনে হয়, আমি গরিব ও কম শিক্ষিত হওয়ায় তারা বাড়তি বিল করেছে। এরা কোনো কথা শুনে না, তারা যা বিল করছে তাই দিতে বলছে।
অন্য দিকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মেহেদি হাসান তার খালাতো ভাই আল-হেলাল মিরাজকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কারণে অন্য হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে এ হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।
মেহেদি হাসান অভিযোগে বলেন, আমার রোগী অন্য হাসপাতাল থেকে এ হাসপাতালে এনেছি। রোগীর হাতে ক্যানোলা করা ছিল। ক্যানোলার সঙ্গে যে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে তার জন্য প্রতি ইনজেকশনের জন্য ১০০ টাকা করে বিল ধরা হয়েছে। এমন বিল কোনো হাসপাতাল নেয় না।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন রোগীকে দেখার জন্য সিনিয়র ডাক্তারের বিল নেওয়ার পরও, কেনও জুনিয়র ডাক্তার ভিজিটের বিল করেছে তারা। এমন বাড়তি বিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রায় সব রোগীর কাছ থেকে আদায় করছে। আমাদের কষ্টের টাকায় হাসপাতালকে বাড়তি বিল দিতে চাই না।
আলোক হাসপাতাল লিমিটেড এর কাস্টমার কেয়ার ম্যানেজার মো. আসাদুজ্জামান সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানে রোগী ভর্তি করার আগে, সবকিছু তাদের জানিয়ে ভর্তি করি। সবাই সব কিছু জেনে এখানে ভর্তি হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিনিয়র ডাক্তার প্রতিদিন আমাদের রোগীদের একবার দেখেন। এছাড়া জুনিয়র ডাক্তাররা রোগীদের পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। অন্য হাসপাতালে এভাবেই রোগীদের পর্যবেক্ষণ করা হয়। এটা প্রত্যেকটি হাসপাতালের একটি প্রক্রিয়া, অন্য কিছু নয়।