Space for ads

ঈশ্বরদীতে ডেঙ্গুর ভয়ঙ্কর বিস্তার, সাতদিনে মৃত্যু ৩

 প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ অপরাহ্ন   |   মহামারি

ঈশ্বরদীতে ডেঙ্গুর ভয়ঙ্কর বিস্তার, সাতদিনে মৃত্যু ৩
Space for ads

পাবনার ঈশ্বরদীতে ডেঙ্গুর বিস্তার ক্রমশই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ৩ মাসে ১৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে একে একে তিনজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ভয়ঙ্কর এই ডেঙ্গু। মাত্র চারদিনের ব্যবধানে রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত পিন্টু প্রামানিক ও তুষার আলী নামে দুই শ্রমিকের মৃত্যুর পর উপজেলার মানিকনগর পূর্বপাড়ায় মারা গেছেন আব্দুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী। আব্দুর রহমানের ছেলে রমজান আলীও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অবস্থা সংকটাপন্ন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নিহতদের পারিবারিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে, রূপপুর প্রকল্প ঘিরে আবারো ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। তবে বিদেশিদের আবাসন এলাকা গ্রিন সিটিতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করায় বিদেশি নাগরিকদের ওপর এখনো ডেঙ্গুর কোনো প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছে রূপপুর প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, রূপপুর প্রকল্প এলাকার আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম ও প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে ঈশ্বরদীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে দুজনই রূপপুর প্রকল্পের শ্রমিক। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৪-৫ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। বেশিভাগ রোগীই রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত অথবা রূপপুর প্রকল্পের আশপাশের গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স সূত্রে জানা গেছে, এই হাসপাতালের রক্তের প্লাটিলেট পরিমাপ যন্ত্রটি বছরের পর বছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এ বিষয়ে পাবনার সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানানো হয়েছে অচিরেই যন্ত্রটি মেরামত করা হবে। গত বছর ঈশ্বরদীতে ডেঙ্গুতে সাতজন মারা যান। এ বছর এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন পাবনার সিভিল সার্জন শহীদুলাহ দেওয়ান।

তিনি বলেন, পাবনা জেলার মধ্যে ঈশ্বরদীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ঈশ্বরদী হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নিতে আসা ডেঙ্গু রোগীদের অধিকাংশই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিক বলে নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।

গত শনিবার (নভেম্বর) পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আব্দুর রহমান। তিনি মানিকনগর পূর্বপাড়া স্কুল মোড়ের সাবেক ইউপি মেম্বার প্রয়াত আবুল কাশেম গেদা মজুমদারের ছেলে। পেশায় তিনি ছিলেন একজন ব্যবসায়ী।

মৃত আব্দুর রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে জহুরুল ইসলাম নামে একজন জানান, সপ্তাহ খানেক আগে আব্দুর রহমান জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রক্ত পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। দ্রুত তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সেখানেই তিনি মারা যান।

BBS cable ad