চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি, উৎপাদনে ধস
দাঁতের সমস্যা যেকোনো বয়সেই দেখা দিতে পারে। দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা নিয়ে ভোগেননি, এমন মানুষ পাওয়া ভার।
এই ধরনের সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। দাঁতের চেয়েও মাড়িতে ব্যথা হলে ভোগান্তি বেশি হয়। দাঁতে ব্যথা নেই, কিন্তু মাড়ি ফুলে গেছে, একইসঙ্গে প্রবল ব্যথা— মাড়ির এই সমস্যাটিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘জিঞ্জিভাইটিস’। এটি হলো মাড়ির সংক্রমণজনিত রোগ।
সঠিক যত্নের অভাবে দাঁতের ওপর প্লাকের একটি স্তর পড়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এটি থাকার ফলে মাড়িতেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া অতিরিক্ত ধূমপান, অপুষ্টি, ডায়াবেটিস, দাঁতের পর্যাপ্ত যত্ন না নেওয়া, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের ব্যবহার— এমন কয়েকটি কারণ এই রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
যে লক্ষণ দেখলে বুঝবেন, আপনি জিঞ্জিভাইটিসে আক্রান্ত?
* মাড়ি লাল হয়ে ফুলে যাওয়া
* মাড়ি থেকে ক্রমাগত রক্তপাত
* মাড়িতে প্রবল ব্যথা
* দুর্গন্ধযুক্ত নিশ্বাস
* ঠান্ডা এবং গরম খাবার খেলে দাঁত শিরশির করা
জিঞ্জিভাইটিস হলে একেবারেই ফেলে রাখবেন না। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। অতি অবশ্যই দন্তচিকিৎসকের কাছে যান। মাড়িতে ব্যথা হলে চিকিৎসককে না জিজ্ঞেস করে কোনো ওষুধ খাবেন না। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়েও এই সমস্যার মোকাবিলা করতে পারেন।
জিঞ্জিভাইটিস হলে লবণ ও গরম পানি কুলকুচি করতে পারেন। স্বস্তি পাবেন। লবণে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান, যা ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টিকারী সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। নিয়মিত লবণ ও পানি নিয়ে কুলকুচি করলে মাড়ির ব্যথা কমবে, সেই সঙ্গে নিশ্বাসের দুর্গন্ধও দূর হবে।
* অ্যালোভেরা জেল
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ অ্যালোভেরা জেল মাড়ির সমস্যায় দারুণ কাজ করে। একটি পাত্রে ২-৩ চামচ অ্যালোভেরা জেল ভালো করে ফেটিয়ে মাড়িতে লাগান। কিছুক্ষণ রাখুন। ১০ মিনিট বাদে মুখ কুলকুচি করে ধুয়ে ফেলুন। ব্যথা কমাতে এই টোটকা কার্যকরী।
* লেমনগ্রাস তেল
অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট থাকায় এই তেল মাড়ির ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগের ঝুঁকি কমাতে ভরসা রাখতে পারেন লেমনগ্রাস তেলের ওপর। এছাড়া দাঁত এবং মাড়িকে শক্তিশালী করতেও এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।
এক কাপ পানিতে কয়েক ফোঁটা লেমনগ্রাস তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দিয়ে কিছুক্ষণ কুলকুচি করুন। দিনে দু-তিন বার এটি করতে পারেন। উপকার পাবেন।