পিঠের পেশিতে টান ধরলে যা করবেন
ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই হাত-পা কেমন আড়ষ্ট লাগে। পিঠের পেশিতে ইদানীং টান লাগে।
আঙুলের গাঁটেও বেশ ব্যথা। চিকিৎসকের কাছে এভাবেই কথাগুলো বলেছিলেন সীমা রানি। একটি অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত তিনি। প্রায়শই পিঠের ব্যথায় অফিস থেকে তিনি ছুটি নিতে বাধ্য হন। অফিসে বেশির ভাগ সময়টাই কাটে কম্পিউটারের সামনে বসে। তবে এই সমস্যা শুধু সীমার একার তা কিন্তু নয়। অনেকেই ভুগছেন পেশিতে টান ধরার সমস্যায়। সঙ্গে হাতের বা পায়ের আঙুল বেশ ব্যথা।
কেন পেশিতে টান ধরে
মানবদেহে দুইটি পেশি আছে। একটি হলো ইচ্ছা মতো চলে, যেমন হৎপিণ্ড। আরেকটি ঐচ্ছিক পেশি। যাকে আমরা নিজেদের মতো করে চালাতে পারি। ঐচ্ছিক পেশির সহায়তায় আমরা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়া করে বিভিন্ন কাজ করে থাকি। এই পেশিগুলো সাধারণত সঙ্কুচিত বা প্রসারিত হয়। কিন্তু কিছু সময় পেশিগুলো স্থায়ীভাবে সঙ্কুচিত হয়ে থাকে প্রসারিত হতে পারে না। একেই বলে পেশিতে টান ধরে। যারা ক্রনিক কোনো রোগে ভুগছেন বা যাদের চোট-আঘাতজনিত সমস্যা আছে তাদের পেশিতে টান লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু যাদের এই সমস্যা নেই তাদেরও কিছু কারণে লাগতে পারে পেশিতে টান।
যে কারণে পেশিতে টান ধরে
* শরীরের ক্ষমতা যতটা তার থেকে যদি বেশি শক্তি প্রয়োগ করা হয় তাহলে পেশির মধ্যে জমা হয় ল্যাক্টিক অ্যাসিড। যা আমাদের পেশিকে সঙ্কুচিত করে রাখে প্রসারিত হতে দেয় না।
* আমাদের শরীর ৯০ শতাংশই তরলে পূর্ণ। শরীরে তরলের পরিমাণ যখন সঠিক থাকে অঙ্গগুলোও ঠিক মতো কাজ করে। পানির পরিমাণ কম হলেই শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তখনই পেশির সঙ্কোচন দেখা যায়।
* সুস্থ থাকার জন্য ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো বিভিন্ন মিনারেলস বা খনিজ পদার্থের প্রয়োজন। তেমনই প্রয়োজন বি-৬, বি-১২, বি-সি-র মতো বিভিন্ন ভিটামিনের। শারীরবৃত্তীয় কারণে যদি এসব ভিটামিন বা মিনারেলের তারতম্য হয় তবে পেশিতে টান লাগতে পারে।
যেভাবে এড়াবেন এই সমস্যা
* পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে।
* সারাদিনের আহার সময় মতো গ্রহণ করা প্রয়োজন। ব্যালান্স ফুড খাওয়া খুব জরুরি।
* এক নাগাড়ে কাজ না করে সাময়িক বিরতি নিতে হবে।
* ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে।
* গর্ভাবস্থায় অনেক নারীর খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা যায়। বারবার পেশিতে টান ধরলে অবিলম্বে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এ উপায়গুলো অনুসরণ করলেই মিলবে সাময়িক স্বস্তি।
আঙুলের গাঁটেও বেশ ব্যথা। চিকিৎসকের কাছে এভাবেই কথাগুলো বলেছিলেন সীমা রানি। একটি অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত তিনি। প্রায়শই পিঠের ব্যথায় অফিস থেকে তিনি ছুটি নিতে বাধ্য হন। অফিসে বেশির ভাগ সময়টাই কাটে কম্পিউটারের সামনে বসে। তবে এই সমস্যা শুধু সীমার একার তা কিন্তু নয়। অনেকেই ভুগছেন পেশিতে টান ধরার সমস্যায়। সঙ্গে হাতের বা পায়ের আঙুল বেশ ব্যথা।
কেন পেশিতে টান ধরে
মানবদেহে দুইটি পেশি আছে। একটি হলো ইচ্ছা মতো চলে, যেমন হৎপিণ্ড। আরেকটি ঐচ্ছিক পেশি। যাকে আমরা নিজেদের মতো করে চালাতে পারি। ঐচ্ছিক পেশির সহায়তায় আমরা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়া করে বিভিন্ন কাজ করে থাকি। এই পেশিগুলো সাধারণত সঙ্কুচিত বা প্রসারিত হয়। কিন্তু কিছু সময় পেশিগুলো স্থায়ীভাবে সঙ্কুচিত হয়ে থাকে প্রসারিত হতে পারে না। একেই বলে পেশিতে টান ধরে। যারা ক্রনিক কোনো রোগে ভুগছেন বা যাদের চোট-আঘাতজনিত সমস্যা আছে তাদের পেশিতে টান লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু যাদের এই সমস্যা নেই তাদেরও কিছু কারণে লাগতে পারে পেশিতে টান।
যে কারণে পেশিতে টান ধরে
* শরীরের ক্ষমতা যতটা তার থেকে যদি বেশি শক্তি প্রয়োগ করা হয় তাহলে পেশির মধ্যে জমা হয় ল্যাক্টিক অ্যাসিড। যা আমাদের পেশিকে সঙ্কুচিত করে রাখে প্রসারিত হতে দেয় না।
* আমাদের শরীর ৯০ শতাংশই তরলে পূর্ণ। শরীরে তরলের পরিমাণ যখন সঠিক থাকে অঙ্গগুলোও ঠিক মতো কাজ করে। পানির পরিমাণ কম হলেই শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তখনই পেশির সঙ্কোচন দেখা যায়।
* সুস্থ থাকার জন্য ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো বিভিন্ন মিনারেলস বা খনিজ পদার্থের প্রয়োজন। তেমনই প্রয়োজন বি-৬, বি-১২, বি-সি-র মতো বিভিন্ন ভিটামিনের। শারীরবৃত্তীয় কারণে যদি এসব ভিটামিন বা মিনারেলের তারতম্য হয় তবে পেশিতে টান লাগতে পারে।
যেভাবে এড়াবেন এই সমস্যা
* পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে।
* সারাদিনের আহার সময় মতো গ্রহণ করা প্রয়োজন। ব্যালান্স ফুড খাওয়া খুব জরুরি।
* এক নাগাড়ে কাজ না করে সাময়িক বিরতি নিতে হবে।
* ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে।
* গর্ভাবস্থায় অনেক নারীর খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা যায়। বারবার পেশিতে টান ধরলে অবিলম্বে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এ উপায়গুলো অনুসরণ করলেই মিলবে সাময়িক স্বস্তি।