এইচপিভি টিকা নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান স্বাস্থ্যের ডিজির
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু জাফর।
বুধবার রাজধানীর মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরে এইচপিভি টিকা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, এইচপিভি টিকা পেতে ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬১৮ জন কিশোরী নিবন্ধন করেছে। এরই মধ্যে টিকা পেয়েছে ১৮ লাখ ১৭ হাজার ৩২৬ জন। এদের মধ্যে ২৭১ জনের সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এটা শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে যা একেবারেই নগণ্য।
তিনি বলেন, শতকরা ৪ থেকে ৫ জন আক্রান্ত হলে তখন সেটাকে সরাসরি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ধরে নেয়া হয়। ভোলায় একটি টিকাকেন্দ্রে কিছু কিশোরী জ্ঞান হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এসব কিশোরী অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় সঙ্গে টিকা কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
ভোলার ঘটনা ব্যাখ্যা করে অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ভোলায় দুজন শিক্ষার্থীকে প্রথমে টিকা দেওয়া হয়। এরপর তারা কিছুটা অসুস্থতা অনুভব করলে শুইয়ে দেওয়া হয়। এ অবস্থা দেখে সেখানকার অন্য শিক্ষার্থীরা জ্ঞান হারায়। এদের মধ্যে পাঁচজনকে টিকা দেওয়াও হয়নি। প্রাথমিকভাবে এটিকে মানসিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে (ইপিআই) এবার সাত বিভাগে ৬২ লাখ ১২ হাজার ৫৫৯ জনকে এইচপিবি টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এরই মধ্যে স্কুলে ৫৮ লাখ ৬২ হাজার ৯১৮ জন শিক্ষার্থীদের দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে জানান তিনি।