বিধি না মেনে মেডিকেল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে পৌরসভার ডাস্টবিনে
পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যকে সুরক্ষা দিতে হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণের জন্য রয়েছে সরকারি বিধিমালা। তবে সংক্রামক ব্যাধি ছড়ানোর মারাত্মক ঝুঁকি সত্ত্বেও বিধি মেনে মেডিকেল বর্জ্য অপসারণের কোনো ব্যবস্থা নেই বান্দরবান সদর হাসপাতালের। হাসপাতালের সামনে থাকা পৌরসভার খোলা ডাস্টবিনে ফেলা হচ্ছে মেডিকেল বর্জ্য। মেডিকেলের ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্যসহ পৌরসভার বর্জ্যগুলো ফেলা হয় বান্দরবান শহরতলির লেমুঝিরি আগাপাড়া এলাকায় বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কের দুই পাশে।
হাসপাতালের বর্জ্যগুলোকে সাধারণত চার রঙে চিহ্নিত করা হয়— সবুজ, কালো, হলুদ ও লাল। এর মধ্যে ড্রেসিং পরবর্তী সামগ্রী, মাস্ক প্রভৃতিকে হলুদ এবং সুচালো ও ধারালো বর্জ্যসমূহকে লাল রঙে চিহ্নিত করা হয়। এ বর্জ্যগুলো থেকে পরিবেশ দূষণসহ সংক্রামক রোগ ব্যাধি ছড়াতে পারে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিধিসম্মতভাবে মেডিকেল বর্জ্য অপসারণ না করা হলে এর থেকে প্রকৃতি ও পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রামক ব্যাধিসহ নানা ধরনের রোগজীবাণু। তাছাড়া মেডিকেল বর্জ্য ও ওষুধে যেসব কেমিক্যাল থাকে, সেগুলো ধীরে ধীরে মাটি ও পানিতে মিশে গিয়ে একপর্যায়ে জৈবখাদ্য চক্রের মাধ্যমে মানুষের দেহে ফিরে আসে। বিধি মেনে বর্জ্য অপসারণে অপারগতার কথা স্বীকার করছে খোদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. দীলিপ চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ইন্সিনারেশন মেশিন বলে একটি যন্ত্রের মাধ্যমে হাসপাতালের বর্জ্যগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু বান্দরবান সদর হাসপাতালে এ যন্ত্রটি নেই। তাই বাধ্য হয়ে বান্দরবান পৌরসভার মাধ্যমে হাসপাতালের বর্জ্যগুলোকে অপসারণ করা হচ্ছে।’